জামিয়া ইসলামিয়া দারুসসালাম ভাটপাড়া
আলোকিত মানুষ গড়ার প্রচেষ্টায় …..
প্রথমেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে কলিমাতুশ্ শুকর আলহামদু লিল্লাহ পড়ছি যার অপার অনুগ্রহে আমরা সৃষ্টির সেরা হয়েছি। যার অনন্ত করুণায় আমরা মুসলমান হয়েছি এবং যার অসীম অনকম্পায় আমরা হেদায়েতের আলোয় উদ্ভাসিত হয়েছি। সালাত ওসালামের হাদিয়া পেশ করছি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি, যিনি বিশ্ব-মানবের সামগ্রিক কল্যাণের জন্যে শুভাগমন করেছেন পৃথিবীর আঙ্গিনায়, যার দস্তে মোবারকে হাত দিয়ে সাহাবায়ে কেরাম হয়েছেন সোঁনার মানুষে পরিণত এবং যার শুভ পদার্পণে গোটা দুনিয়া হয়েছে আলোকিত।
রাত্রি বেলায় আকাশে কত অসংখ্য নক্ষত্র শোভা পায়, কত অগণিত তারকা মাথার উপরে পরিলক্ষিত হয়, কিন্তু তার পরেও অন্ধকারকে পুরোপুরি ভাবে দূরীভূত করার জন্যে পৃথিবী অপেক্ষা করে সূর্যের। ব্যাপারটি কি আসলেই এমন নয়? নিশ্চয়ই, নিঃসন্দেহে। ঠিক তেমনি হেদায়েতের আসমানে হযরত আদম আলাইহিস্ সালাম থেকে আরম্ভ করে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম পর্যন্ত কত নবী আবির্ভূত হয়েছেন এবং কত রাসূল আত্নপ্রকাশ করেছেন কিন্তু তার পরেও পথভ্রষ্টতার অন্ধকারকে একেবারে বিদায় দেয়ার জন্যে এবং বর্বরতা, নির্মমতা ও নির্দয়তার চির অরসানের জন্যে বিশ্ব এক প্রদীপ্ত সূর্যের অপেক্ষা করছিল, সেই প্রদীপ্ত সূর্য হলেন সর্বশেষ নবী শ্রেষ্ঠ নবী, প্রিয় নবী হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
কোরআন ও হাদীসের ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর ফরজ। আর এই ফরজ কাজটি সম্পাদন করার সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট স্থান হল কওমী মাদ্রাসা। এ সকল মাদ্রাসা হতে হাজার হাজার আলেম বের হচ্ছে প্রতি বৎসরে, অগণিত হাফেজে কোরআন তৈরি হচ্ছে নিয়মিত এ সব কারখানা থেকে, তৈরি হচ্ছে অসংখ্য বক্তা, লেখক ও মুবাল্লিগ। যাদের অধিকাংশই পরবর্তীতে কোন না কোন ভাবে দ্বীনের প্রচার ও প্রসারে আত্ননিয়োগ করে যাচ্ছে এবং কোন না কোন ভাবে তারা ইসলামের খিদমত আঞ্জাম দিয়ে যচ্ছে।
১৮৬৬ ঈসায়ী সালে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী ইলমী মারকায, ওলামায়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের ছহীহ আকায়েদের ধারক-বাহক দারুল উলূম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। দারুল উলূমের শাখা হিসেবে ১৯০১ ঈসায়ী সালে বাংলার সুপ্রসিদ্ধ দ্বীনি এদারা দারুল উলূম মুইনুল ইসলাম (হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশে ইলমে নববীর শিক্ষার সম্প্রসারণ শুরু হয়। স্বল্প সময়েই এদেশের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠতে থাকে বহু মাদ্রাসা। চট্টগ্রাম পটিয়া, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, বগুড়া বরিশাল, মোমেনশাহী, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অসংখ্য মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন ৮নং নাটাই উত্তর ইউনিয়ন অন্তর্গত ভাটপাড়া গ্রামে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। ১৯৭০ ঈসায়ী সনে “ জামিয়া ইসলামিয়া দারুসসালাম ভাটপাড় ” এমনি-ই একটি খালেছ দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের নাম, যা দারুল উলূম দেওবন্দের আদর্শ ও মতবাদে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
জামিয়ার শিক্ষার প্রকল্প
আদর্শ নূরাণী বিভাগ
মাত্র ২ বৎসরের কোর্সে সহীহ শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ তিলওয়াত, আমপারা ও অর্থসহ ৪০টি হাদীস মুখস্থ করানো হয়। অত্যাবশ্যকীয় মাসয়ালা – মাসায়িল সহ প্রাথমিক বাংলা, অংক, ও ইংরেজী শেখানো হয়।
হিফজ বিভাগ
রেজাল্টের বিবেচনায় উল্লেখযোগ্য স্থান অর্জন করার মাধ্যমে এ বিভাগটি ইতোমধ্যে জামেয়াকে গোটা বাংলাদেশসহ বহির্বিশ্বেও পরিচিত করে তোলেছে। মক্তব ও প্রাইমারি থেকে আসা ছোট ছোট শিশুদেরকে অত্যন্ত যত্নের সাথে সাধারণত মাত্র তিন বছরে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ মুখস্থ করানোর চেষ্টা করা হয় এবং হিফজ সমাপনকারী ছাত্রদের কিতাব বিভাগে ভর্তির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হয়।
কিতাব বিভাগ
এটি জামিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সর্বাধিক সমৃদ্ধ, বৃহত্তর ও প্রধান বিভাগ। এ বিভাগেই তৈরী হয় একদল মর্দে মুজাহিদ জাতির কাণ্ডারী ও আধ্যাত্মিক রাহবার। এ বিভাগটিতে ইবতিদাইয়্যাহ ৪র্থ (রাবে) থেকে ফজিলত ২য় বর্ষ (স্নাতক ডিগ্রি) পর্যন্ত রয়েছে। কিতাব বিভাগে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা, অংক, ও ইংরেজি বাধ্যতা মূলত পাঠদান হচ্ছে।
জামিয়ার প্রশিক্ষণ কর্মসূচী
ধর্ম-বর্ণ ও সমাজের সকল স্তরে জামিয়ার সন্তানরা যাতে ভূমিকা রাখতে পারে, সে জন্য রয়েছে নানামুখী আয়োজন। তাদের দক্ষ পরিচালনায় সম্পন্ন হয় নিম্নোক্ত আয়োজনসমূহ :
জমিয়ার সেবা প্রকল্প
Joining Over 800,000 Students Enjoying Avada Education now
Become Part of Avada University to Further Your Career.