জামিয়া ইসলামিয়া দারুসসালামে স্বাগতম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন ৮নং নাটাই উত্তর ইউনিয়নের অন্তর্গত ভাটপাড়া গ্রামে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। স্থাপিতঃ ১৯৭০ ঈসায়ী।

আদর্শ নূরাণী বিভাগ

মাত্র ২ বৎসরের কোর্সে সহীহ শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ তিলওয়াত, আমপারা ও অর্থসহ ৪০টি হাদীস মুখস্থ করানো হয়। অত্যাবশ্যকীয় মাসয়ালা – মাসায়িল সহ প্রাথমিক বাংলা, অংক, ও ইংরেজী শেখানো হয়।

কিতাব বিভাগ

এটি জামিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সর্বাধিক সমৃদ্ধ, বৃহত্তর ও প্রধান বিভাগ। এ বিভাগেই তৈরী হয় একদল মর্দে মুজাহিদ জাতির কাণ্ডারী ও আধ্যাত্মিক রাহবার।

হিফজ বিভাগ

মক্তব থেকে আসা ছোট কছি শিশুদেরকে ২-৩ বৎসরে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ শুদ্ধরূপে মুখস্থ করানো হয়।

Logo

শ্রেষ্ঠত্ব এবং উদ্ভাবন দ্বারা অনুপ্রাণিত

আমরা উচ্চ মানের শিক্ষাদান এবং পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপের বিস্তৃত পরিসর অফার করি।

কেন আমাদের জামিয়াকে নির্বাচন করবেন?

“জামিয়া ইসলামিয়া দারুস্সালম ভাটপাড়া”গতানুগতিক কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম নয়। সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে জামিয়া সাজিয়েছে তার পাঠনদান পদ্ধতি। শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে সবোর্চ্চ ফজিলত ২য় বর্ষ (স্নাতক ডিগ্রি), হাদিস, তাফসীর, উলূমুল হাদীস, ইসলামের ইতিহাস, আরবী ও বাংলা সাহিত্য সহ বিভিন্নিমূখী পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়ন করে চতুর্মূখী যোগ্যতাসম্পন্ন বিচক্ষণ আলেমে দ্বীন জতিকে উপহার দেওয়ার সুখ্যাতি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে গেছে। সুবিন্যস্ত সিলেবাসের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে মৌলিকভাবে কুরআন, হাদীস, ফিকাহ, তাফসীর , উসূল, আকায়িদ, বৈষয়িক পর্যায়ে আরবী সাহিত্য , বাংলা সাহিত্য, ব্যাকরণ , নাহু , সরফ , বালাগাত সহ বাংলা, ইংরেজী, গণিত , ইতিহাস ,ইতিহাস, ভূগোল দর্শন ইত্যাদি সমূদয় বিষয়ে প্রয়োজন পরিমানে শিক্ষা দেয়া হয়। শিক্ষার পাশাপাশি জনসমাজে ইসলামী শিক্ষার সুফল পৌঁছে দেয়ার মহান লক্ষ্যে জামিয়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে থাকে। সব মিলিয়ে “জামিয়া ইসলামিয়া দারুস্সালম ভাটপাড়া” বহু বিভাগ সমন্বিত একটি মহা প্রকল্প।

জামিয়ার সফলতা

জামিয়ার শিক্ষাসফলতা 100%
জামিয়ার ছাত্রদের আমল ও আখলাক 99%
জামিয়ার ছাত্র ক্লাসে অংশগ্রহন 99%
জামিয়ার বেফাক বোর্ডে মেদাতালিকায় 99%
জামিয়ার আঞ্চলিক বোর্ডে মেদাতালিকায় 100%
জামিয়ার শিক্ষক গনের যোগ্যতা 100%

জামিয়ার শিক্ষা প্রকল্প

দারুল উলুম দেওবন্দের সিলেবাসের আলোকে তথা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণিত সিলেবাসে পাঠদান।

  • আদশ নুরানি বিভাগ – মাত্র ২ বৎসরের শুদ্ধভাবে সম্পূর্ণ কুরআন তিলওয়াত।

  • হিফজ বিভাগ – ২-৩ বৎসরে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ শুদ্ধরূপে মুখস্থ করানো হয়।

  • কিতাব বিভাগ – এটি জামিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় সর্বাধিক সমৃদ্ধ, বৃহত্তর ও প্রধান বিভাগ।

ইলমে দ্বীন হাসিল করার পর জনসমাজে ইসলামী শিক্ষার সুফল পৌঁছে দেয়ার মহান লক্ষ্যকে সামনে রেখে জামেয়া সময়ে সময়ে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। সবমিলিয়ে জামিয়া ইসলামিয়া দারুসসালাম ভাটপাড় বহু বিভাগ সমন্বিত একটি মহাপ্রকল্প।

এক নজরে জামিয়া

  • প্রতিষ্ঠানের নাম – জামিয়া ইসলামিয়া দারুসসালাম ভাটপাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশ
  • প্রতিষ্ঠানের অবস্থান: – ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাধীন ৮নং নাটাই উত্তর ইউনিয়ন অন্তর্গত ভাটপাড়া গ্রামে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত।
  • প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম – জগতজুড়ে আলোকিত এ মনীষার নাম “মাও. আব্দুস সালাম রহ.”। পাহাড়পুরের অলিকুল শীরমণির পরিবারে জন্ম যার।
  • প্রতিষ্ঠাকাল – ১৯৭০ ঈসায়ী
  • প্রতিষ্ঠানের আয়তন – ৬০,০০০ বর্গ ফুট।
  • কক্ষ সংখ্যা – ২২ টি (পুরাতন দুতলা ভবন ১৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ)
  • কক্ষ সংখ্যা – ২৪টি (পাঁচ তলা নির্মাণাধীন নতুন ভবন ১৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থ , আলহামদুলিল্লাহ তিন তলা সম্পন্ন )
  • জামেয়ার শিক্ষাস্তর – মক্তব থেকে ফজিলত ২য় বর্ষ (স্নাতক ডিগ্রি) পর্যন্ত রয়েছে। কিতাব বিভাগে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা, অংক, ও ইংরেজি বাধ্যতা মূলত পাঠদান হচ্ছে।
  • রুটিন মাফিক পাঠদানের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক শিক্ষার্থীদের তদারকির ব্যবস্থা ।
  • ইলমী প্রাজ্ঞতা অর্জনের সাথে সাথে আত্মিক-শুদ্ধায়নের জন্য সাপ্তাহিক তরবিয়তী জলসার ব্যবস্থা।
  • তালিমের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তরবিয়তের সমান গুরুত্বসহ ইসলামী আদর্শের বাস্তবমূখী অনুশীলনের ব্যবস্থা।
  • সর্বোচ্চ তিন বছরে সম্পূর্ণ কুরআন হিফজের ব্যবস্থা
  • কুরাআন-হাদীস চর্চার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় বাংলা, অংক ও ইংরেজী বিষয়ে পাঠদান।
  • এতিম, গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি‘র ব্যবস্থা।
  • অমনোযোগী শিক্ষার্থীদের মনোযোগী হিসেবে গড়ে তোলার বিশেষ ব্যবস্থা।
  • অভিভাবক সমাবেশের মাধ্যমে অভিভাবকদের প্রয়োজনী পরামর্শ গ্রহণ।
  • সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎও জেনারেটরের ব্যবস্থা ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা ।
  • স্বাস্থ্যসম্মত নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে নিজস্ব ক্যাম্পাসে আবাসন ব্যবস্থা।
  • সাপ্তাহিক নির্দেশিকায় প্রতিদিন তিনবেলা স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ব্যবস্থা

ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা এবং মুক্তির জন্য ছেলে মেয়েদেরকে জাগতিক শিক্ষার পাশাপাশি ইলমে দ্বীনী-শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা প্রতিটি মুসলমান নর-নারী‘র দায়িত্ব ও কর্তব্য। আর মুসলমান হিসেবে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালীন সফলতাই একজন মুসলমানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ইরশাদ হচ্ছে- “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারী‘র জন্য প্রয়োজনীয় দ্বীনি শিক্ষায় জ্ঞান অর্জন করা ফরজ”। কিন্তু সম্পতিক সময়ে আমাদের দেশের জাগতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল-কলেজ)গুলোর শিক্ষার্থীরা বিশুদ্ধ ইসলামী শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তবে শিক্ষার্থীদের আর্থিক সামাজিক উন্নয়নে জাগতিক শিক্ষার প্রয়োজনও কম নয়। তাই দ্বীনি-শিক্ষা ও জাগতিক শিক্ষার সু-সমন্বয় সাধন করা খুবই জরুরী। সমাজের এ মহান প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে-ই প্রতিষ্ঠা করা হয় জামিয়া ইসলামিয়া দারুস্সালাম ভাটপাড়া”। অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এ প্রতিষ্ঠান প্রধান দু‘টি দলীয় রাজনীতির উর্ধ্বে থেকে তালীম ও তাবলীগের দায়িত্ব পালন ছাড়াও কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ ও যোগ্য মানব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিম্ন উল্লেখিত কর্মসূচী বাস্তবায়নে সদা সচেষ্ট।

  • প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাঝে আল্লাহতা‘আলার হুকুম ও রাসূল সাঃ এর আদর্শ বাস্তবায়ন করা।
  • ঐশিশ্রুত কোরআন হিফজ করার পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষা ও আদর্শে সমাজে ধর্মীয় ভাবধারা সৃষ্টি করা।
  • ইসলামী ও জাগতিক শিক্ষার সু-সমন্বয়ে আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলা।
  • ইহকালীন ও পরকালীন সাফল্য অর্জনে শিক্ষার্থীদেরকে উপযোগী দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ চরিত্র গঠন ও স্বদেশানুরাগী করে গড়ে তোলা।
  • এতিম ও অসহায় শিশু-কিশোরদেরকে আশ্রয় দান করতঃ উত্তম শিষ্টাচার শিক্ষা দান করা।
  • সর্বক্ষেত্রে হালাল রিযিক দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কর্মোপযোগী মানুষ তৈরী করা।
  • বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাকুল-মাদারিস) এর শিক্ষা কার্যক্রম অনুসরন করা।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ঈর্ষনীয় সাফল্য অর্জন করার ফলে অতি অল্প সময়ে এ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম সুখ্যাতি বিশ্বের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। সার্বিক দিক বিবেচনায় এ প্রতিষ্ঠানটি উলামায়ে কেরাম নিকট ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। অপর দিকে সুদক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর আ্ন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় পরীক্ষাসমূহে বিভিন্ন মারহালায় মেধা তালিকায় সম্মানজক স্থান অধিকার করে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করে আসছে।

রমজানের ছটি ঐচ্ছিক ৩০ দিন, ঈদুল ফিতরের ছটি ১০ দিন, ঈদুল আজহা ছটি ১০দিন । প্রথম সাময়িক পরিক্ষার ছটি ৪ দিন, দ্বিতীয় সাময়িক পরিক্ষার ছটি ৪ দিন, মাহফিল ছটি ৪ দিন, শহিদ মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রু য়ারি ১ দিন , স্বাধীনতা দিবসের ১ দিন , ১২ রবিউল আওয়াল ১ দিন, ১০ মহরম ১ দিন ।

Logo

জামিয়ার সর্বশেষ সংবাদ

জামিয়া দারুস্সামে প্রায় ৪৫০জন ছাত্র নিবিড় তত্ত্বাবধানে অধ্যয়নরত রয়েছে

সঠিক পরিচর্যায় ইলমে দ্বীন অর্জন করার জন্য আপনার সন্তানকেও জামিয়া দারুস্সালামে ভর্তি করাতে পারেন